রাশিদুল ইসলাম: সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০২০-র মধ্যে আরব দুনিয়ায় চীন যে বিনিয়োগ করেছে, তার ২০ শতাংশ হয়েছে সৌদিতে। সৌদির মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, শি জিনপিংয়ের সফরের সময় রিয়াদে তিন হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করবে চীন। আরব নিউজ 

তবে সৌদি আরবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যখন আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত তখন যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের সুরক্ষা সংক্রান্ত মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাদের কাছে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন সেখানে ও বিশ্বের অন্যত্র যেভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, তার উপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে।

কিরবি বলেন,  চীন ও সৌদি যে সব বিষয় নিয়ে, যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ফলপ্রসূ হবে না। কিরবি এটাও জানিয়েছেন, দেশগুলি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে একজনকে বেছে নেবে, সেই প্রত্যাশা তাদের নেই।

যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা তিক্ত হয়ে উঠছে তখন চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত মাসে মার্কিন অনুরোধ উপেক্ষা করে সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে বিশেষ করে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশি তেঁতে উঠেছে।এই সফরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান চীনা প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিলেও কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের সময় এই ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

এদিকে প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ছয় বছর পর আবার সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় সফর করতে পেরে এবং বাদশাহ সালমানের সদয় আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রথম চীনা-আরব শীর্ষ সম্মেলন এবং চীন ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দুই পবিত্র মসজিদের অভিভাবক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদকে চীনা সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাতে পেরে আনন্দিত। তিনি বলেন, চীন এবং সৌদির মধ্যে বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ৩২ বছর পার হয়ে গেছে, উভয় পক্ষ বোঝাপড়া এবং সমর্থন বিনিময় অব্যাহত রেখেছে। কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস, ব্যবহারিক সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং সমন্বয় সব ক্ষেত্রেই সুফল বয়ে আনছে। এ সম্পর্ক দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করেছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের প্রচারে জোরালো অবদান রেখেছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ